অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান হিসেবে শপথ নিচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি আজ রাত ৮ টায় শপথ নেবেন। এজন্য ফ্রান্স থেকে দেশে ফিরছেন ইউনূস। তার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা।
বৃহস্পতিবার সকালে খোঁজ গিয়ে দেখা গেছে, পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ভবনটি সাজগোছের কাজ করছে।
একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী জানান, দেশের সরকারপ্রধানের জন্য ভবনটি ঠিক করা হচ্ছে। আমরা মাঠের ঘাস কেটেছি, গাছগাছালি পরিষ্কার করছি। এখানে উনি থাকবেন।
ভবনের ভেতরে কারা আছে জানতে চাইলে এই কর্মী বলেন, সেনাবাহিনী আছে।
ভবনের সামনে এখনো নিরাপত্তা বেষ্টনী বসানো হয়নি। আধা খোলা প্রধান ফটকের ভেতরে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের ঝাড়ু দিতে দেখা যায়।
এর আগে ১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি হাবিবুর রহমান এবং ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা লতিফুর রহমান তাদের দায়িত্বের দিনগুলো রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনাতেই ছিলেন।
২০০৮ সালে এক-এগারোর পট পরিবর্তনের পর সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমেদও এ ভবনেই থেকেছেন।
সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম ভূঞা জানান, এবারও প্রধান উপদেষ্টার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রটোকল শাখা থেকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গতকাল থেকেই কাজ শুরু হয়েছে। লনগুলো পরিষ্কার করা, ঘাস কাটার কাজ শুরু হয়েছে। চেয়ার-টেবিল, ফার্নিচার নতুন করে সাজানো হচ্ছে। পিডব্লিউডির প্রধান প্রকৌশলী এই কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসের নাম প্রস্তাব করেছিল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাতে সম্মতি দেন। তার নেতৃত্বেই হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।