ভারত থেকে ১৭০২ মেট্রিকটন কালো পাথর আমদানি

বাংলাদেশ

ভারত থেকে ৩০টি ওয়াগনে কালো পাথর ( ব্লাকস্টোন) আমদানি করা হয়েছে।মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে ভারতের হলদিবাড়ি হয়ে নীলফামারীর চিলাহাটি রেলস্টেশনে পৌঁছায় এক হাজার ৭০২ মেট্রিক টন কালো পাথরের ৩০টি ওয়াগন। পরে ওয়াগনগুলো রেখে ভারতীয় রেল ইঞ্জিনটি একই পথে ভারতে ফিরে যায়।

চিলাহাটি স্টেশন মাস্টার আশরাফুল হক বলেন, এর আগে ১ আগস্ট বিকেলে এই রেলপথে প্রথমবারের মতো ভারত থেকে ৪০টি ওয়াগনে ২ হাজার ২৮৫ দশমিক ২০ মেট্রিক টন ও ৫ আগষ্ট ১৯ ওয়াগনে  এক হাজার ১২২ মেট্রিক সাদা নুরী পাথর এসেছিল। দুই দফায় ওই পাথরগুলো আমদানি করেছিল দিনাজপুর হিলির খান এণ্ড সন্স। যা যশোরের নোয়াপাড়া ও নীলফামারীর সৈয়দপুরে খালাস করা হয়।  

মঙ্গলবার (১০ আগষ্ট) তৃতীয় দফায় ভারত থেকে ৩০ ওয়াগনে এক হাজার ৭০২ মেট্রিক টন কালো পাথর এসেছে । এই পাথর গুলো আমদানি করেছেন  রাজশাহীর  সিএন্ডএফ এজেন্ট শুভ এন্টার প্রাইজ। শুভ এন্টার প্রাইজের এসব পাথরের ওয়াগন দেশীয় ইঞ্জিনে নীলফামারীর সৈয়দপুরে নিয়ে খালাস করা হবে।  

চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল সংযোগ এমনই একটি রুট যা ১৯৬৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কার্যকর ছিল। এটি ৫৬ বছর পুনরায় রেললাইন স্থাপনের মাধ্যমে চালু করার পর আমদানী কারকগণ এই পথটিকে এখন বেশি করে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। কারণ এই পথে ভারত থেকে পাথর, গম, চাল ও ভুট্টা আমদানিক্ষেত্রে সময় ও দুরত্ব কম  লাগছে।

ফলে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথে এখন দুই বাংলার মানুষজন নিয়মিত ট্রেনের আসা যাওয়া ও হুইসেল শুনতে ও দেখতে পারছেন। যা বাংলাদেশ-ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্কের আরও একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করেছে।

প্রকাশ থাকে যে, দীর্ঘ ৫৬ বছর পর হলদিবাড়ি-চিলাহাটি ব্রডগেজ রেলপথটি চালু হবার পর এখন নিয়মিত পণ্য আমদানি শুরু হয়েছে। এই রেলপথটি গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী যথাক্রমে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন। উল্লেখ যে, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ভারত ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত সাতটি রেল সংযোগ চালু ছিল।