চাকরির পেছনে ঘোরার চেয়ে ব্যবসা করা ভালো: মাহাদী

ই-কমার্স

নিজের জীবনটাকে নিজের মত করে গড়তে উদ্যোক্তা হবার স্বপ্ন নিয়ে সফলতার পথে কাজ করে যাচ্ছেন সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মাহাদী হাসান মাহফুজ। গড়ে তুলেছেন ছোট্ট একটি শপ নাম ড্রিংকস কর্ণার, করেছেন একজন মানুষের কর্মসংস্থান। তার এই শপে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরণের পানীয় এবং চা-কফি, বিস্কুট, চিপস্ ইত্যাদি। রয়েছে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সেবাও। প্রতিদিনের কলেজ শেষে নির্দিষ্ট সময় ধরে বসেন সিলেটের সিলকো টাওয়ারে অবস্থিত তার দোকানে।

মাহাদীর বাবা একজন সফল ব্যবসায়ী। বাবাকে দেখেই তার এ উদ্যোগ। সিলেটের তরুণ-তরুণীদের ইউরোপ-আমেরিকা যাবার যে ধারা, তা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থী মাহাদীর স্বপ্ন দেশে থেকেই কাজ করার। তার উদ্যোগে কর্মসংস্থান হতে পারে বেশ কয়েকজন মানুষের।

বিষয়টি নিয়ে মাহাদী বলেন, বাংলাদেশে লেখাপড়া শেষ করে একটা চাকরি পেতে ভোগান্তি প্রচুর। কোথাও কোনো চাকরির সুযোগ পেলেও নিতে হয় দুর্নীতির আশ্রয়। আমি মনে করি, এর থেকে ভালো হবে এ ব্যবসার প্রসার করা। এতে করে ব্যবসাটাও শেখা হবে এবং আমার জন্য সৎ পথে চাকরি পাওয়া পর্যন্ত নিজের লেখাপড়াসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

মাহাদী কলেজে ভর্তি হবার পরই চলতি বছরের জুলাই মাসে বপন করেন তাঁর উদ্যোক্তা হওবার স্বপ্নে এই ব্যবসার বীজ। ১৮ বছর পার করা এই তরুণ বলেন, এই ব্যবসা আমার লেখাপড়ায় কোনো ধরনের সমস্যা তৈরি করছে না। আমি নিজের লেখাপড়ার বিষয়ে যথেষ্ট মনোযোগী।

মাহাদী হাসান মাহফুজ ২০০৪ সালের ৯ আগস্ট সফল ব্যবসায়ী পিতা আব্দুল হান্নান ও মাতা সুরমা বেগমের ঘর আলোকিত করে সিলেট জেলার পোলাপগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০২২ সালে সিলেটের বাংলাদেশ ব্যাংক স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করেন।

শিক্ষার্থী: সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজ, সিলেট।