দুদেশের রাজনৈতিক ও ভৌগোলিক অবস্থান বিপরীত মেরুতে। তা সত্ত্বেও সব ব্যবধান ঘুচিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে যেন এক বিন্দুতে মিলিয়ে দিয়েছেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকরকে নিয়ে উন্মাদনার জোয়ার বইছে দুই দেশেই। আল হিলাল ও বার্সেলোনার প্রস্তাব ফিরিয়ে গত বুধবার মেসি জানিয়ে দিয়েছেন, তার নতুন ঠিকানা হতে যাচ্ছে মার্কিন ক্লাব ইন্টার মায়ামি। চুক্তির সব প্রক্রিয়া এখনো শেষ না হলেও মেসি-জ্বরে আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্র। ভিন্ন কারণে সেই উত্তাপ চীনেও ছড়িয়ে পড়েছে। মায়ামিতে পাড়ি জমানোর আগে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলতে শনিবার চীনে এসেছেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন মহাতারকা। বেইজিংয়ে রকস্টারের মতো অভ্যর্থনা পেয়েছেন মেসি।
১৫ জুন বেইজিংয়ের ওয়ার্কার্স স্টেডিয়ামে প্রীতি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এই ম্যাচ খেলতে কাল কয়েকভাগে বেইজিংয়ে পৌঁছে আর্জেন্টিনা দল। মেসি আসেন ব্যক্তিগত বিমানে। তার সঙ্গে ছিলেন আনহেল দি মারিয়া, রদ্রিগো দি পল, লিয়ান্দো পারেদেস, লো সেলসো, এনজো ফার্নান্দেজ ও নাহুয়েল মলিনা। কিন্তু বিমানবন্দরে আর্জেন্টিনা দলকে বরণ করে নিতে আসা চীনা ফুটবলপ্রেমীদের মুখে ছিল একটাই নাম-মেসি। গোটা বেইজিং যেন প্রকম্পিত হয়ে ওঠে মেসি, মেসি চিৎকারে! ভক্তদের অনেকের গায়ে ছিল মেসির ১০ নম্বর জার্সি।
এ নিয়ে সপ্তমবার চীন সফরে এলেন মেসি। তবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হিসাবে প্রথমবার। এজন্যই উন্মাদনার পারদ আকাশ ছুঁয়েছে। ৭২ হাজার টাকা দামের টিকিটও বিক্রি শুরুর মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। মাঠে বসে মেসির খেলা দেখতে বান্ধবী বিসর্জন দিতেও রাজি অনেক চীনাভক্ত! ১৫ জুনের ম্যাচ দিয়ে তিন বছর পর আন্তর্জাতিক ফুটবল ফিরছে চীনে। অন্যদিকে বিশ্বকাপ জয়ের পর দেশের বাইরে এটাই আর্জেন্টিার প্রথম ম্যাচ। চীন সফর শেষে ১৯ জুন জাকার্তায় স্বাগতিক ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে আরেকটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা।