ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাকে বহনকারী বিমান দুপুর ২টা ১০ মিনিটে অবতরণ করে। তাকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে রয়েছেন সেনা, বিমান ও নৌ বাহিনীর প্রধানগন। একই সঙ্গে উপস্থিত রয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
শেখ হাসিনার পতনের পর নানা জটিলতা শেষে অবশেষে সরকার প্রধান হিসেবে আজ রাত ৮টায় শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের। এর মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে সরকারের উপদেষ্টারা শপথ নেবেন বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। গতকাল সেনা সদরে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদে ১৫ জনের মতো সদস্য থাকতে পারেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূস গতকালই ফ্রান্স থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। আজ দুপুর ২টা ১০ মিনিটে তাকে বহনকারী বিমানটি ঢাকায় অবতরণ করার কথা। ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাতে সেনাবাহিনীর প্রধান উপস্থিত থাকবেন বলে তিনি নিজেই জানিয়েছেন।
শপথ অনুষ্ঠানে চারশ’র মতো অতিথি থাকবেন বলে জানা গেছে। এদিকে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতের করা মামলা থেকে তাকে খালাস দেয়া হয়েছে গতকাল। ফ্রান্স থেকেই গতকাল দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি একটি বার্তাও দিয়েছেন।
বার্তায় ড. ইউনূস বলেছেন, আমি সাহসী ছাত্রদের অভিনন্দন জানাই, যারা আমাদের দ্বিতীয় বিজয় দিবসকে বাস্তবে রূপ দিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং অভিনন্দন জানাই দেশের আপামর জনসাধারণকে, যারা ছাত্রদের এই আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন।
এদিকে ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানিয়েছেন, আজ দুপুরের মধ্যেই উপদেষ্টাদের নাম চূড়ান্ত হয়ে যাবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের প্রায় চার ঘণ্টার বৈঠকে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করার সিদ্ধান্ত হয়। তবে ওই সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, গত সোমবার দুপুরের পর শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। এর পরই সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ঘোষণা দেন।