বগুড়ায় আরও সাতদিন বাড়ল কঠোর বিধি-নিষেধ

বাংলাদেশ

করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বগুড়ায় চলমান সর্বাত্মক কঠোর বিধি-নিষেধ আরও সাতদিন বাড়িয়েছে জেলা প্রশাসন। শনিবার প্রথম দফার সাতদিনের বিধি-নিষেধ শেষে ওই দিন থেকেই আবারো সাতদিনের বিধি-নিষেধ শুরু হবে বগুড়া পৌর ও সদর উপজেলা এলাকায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক। 

জেলা প্রশাসক জানান, বগুড়ায় চলমান সর্বাত্মক কঠোর বিধি-নিষেধ আরও সাতদিন বাড়ানো হয়েছে। শনিবার এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এছাড়া শনিবার থেকে সান্তাহার পৌরসভায় সাতদিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। 

এদিকে চলমান  কঠোর বিধি-নিষেধে যেসকল নির্দেশনা রয়েছে- 

  • সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শপিংমল, মার্কেট, দোকান বন্ধ থাকবে। তবে ঔষধ, চিকিৎসাসেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকারের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠান আওতাবহির্ভূত থাকবে। এছাড়া কাঁচাবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দোকান বিকাল ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এছাড়া পৌর ও সদর উপজেলার ১৪টি বাজার উন্মুক্ত স্থানে বসবে। 
  • খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁ সমূহ সকাল ৬ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খাদ্য বিক্রয় ও সরবরাহ করতে পারবে।
  • বিধি নিষেধ চলাকালীন বাসসহ কোন প্রকার যানবহন বগুড়া শহরে প্রবেশ করতে এবং বগুড়া শহর হতে বাইরে যেতে পারবে না. দূরপাল্লার যানবহন শুধু হাইওয়ে ব্যবহার করবে এবং সর্বাত্মক কঠোর বিধি নিষেধ আরোপিত এলাকায় সকল প্রকার যানবহন চলাচ বন্ধ থাকবে।। তবে জরুরী সেবাদানকারী পরিবহন, রোগী পরিবহণকারী অ্যাম্বুলেন্স, স্বাস্থ্যসেবার সাথে সম্পর্কিত পরিবহণ ও ব্যক্তিবর্গ এবং কৃষিপণ্য/খাদ্যসামগ্রী পরিবহণ এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে।
  • জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি), রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানসহ সকল ধরনের গণজমায়েত বন্ধ থাকবে।
  • বগুড়া শহরের সকল সাপ্তাহিক হাট বন্ধ থাকবে।
  • সকল পর্যটন স্থল, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে ।
  • সকল ধরনের চায়ের দোকান বন্ধ থাকবে এবং ফুটপাতে কোন প্রকার দোকান বসানো যাবে না।
  • শিল্প-কারখানা সমূহ স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ পূর্বক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে।
  • সরকারের রাজস্ব আদায়ের সাথে সম্পৃক্ত সকল দপ্তর/ সংস্থাসমূহ জরুরী পরিষেবা আওতাভুক্ত হবে।
  • সকল ধরনের সরবরাহ ব্যবস্থাপনা সচল থাকবে ।
  • স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জুম্মার নামাজসহ প্রতি ওয়াক্ত নামাজের সামাজিক দূরত্ব মেনে মুসল্লী অংশগ্রহণ করতে পারবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে ও সামাজিক দূরত্ব মেনে উপাসনা করা যাবে।
  • উপর্যুক্ত বিধি নিষেধ অমান্য করলে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ শহর প্রচলিত অন্যান্য আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।