বগুড়ায় করোনা ও উপসর্গে ১৩ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৯৭

কোভিড-১৯

বগুড়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে এবং উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও আটজন। শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় তাদের মৃত্যু হয়।

করোনায় মারা যাওয়া ৫জনের মধ্যে দুজন বগুড়ার বাকি তিনজন অন্য জেলার। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- নাটোর জেলার হায়দার হোসেন(৫৫), বগুড়া সারিয়াকান্দির আসাদুল(৪৭), জয়পুরহাট জেলার গোলাম রব্বানী(৫২), দিনাজপুর জেলার মোজাম্মেল হক(৫৫) এবং বগুড়া গাবতলী উপজেলার দুলু মিয়া(৬৮)। এদের মধ্যে হায়দার ও আসাদুল শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ(শজিমেক) হাসপাতালে, গোলাম রব্বানী সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে, মোজ্জামেল হক টিএমএসএস হাসপাতালে এবং দুলু মিয়া গাবতলীতে নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। 

বগুড়ার ডেপুটি  সিভিল সার্জন ডা: মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন শনিবার সকালে অনলাইন ব্রিফিংয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়ে বলেন, বৈশ্বিক ওই ভাইরাসে জেলায় নতুন করে আরও ৯৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল ও শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করোনা উপসর্গ নিয়ে দুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৮জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন।

ডা: তুহিন জানান, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় জেলায় আরও ৩২৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৯৭জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রন্তের হার ২৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এদের মধ্যে সদরের ৭০জন, শাজাহানপুরের ১১জন, দুপচাঁচিয়ায় ৮জন, সারিয়াকান্দি ২জন এবং গাবতলী ও শেরপুরে একজন করে। এছাড়া একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন আরও ১০৫জন।

তিনি জানান, শুক্রবার বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ২৮২টি নমুনা পরীক্ষায় ৭৩জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন।  এছাড়া বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ৪৬ নমুনায় ২৪ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। 

ডা. তুহিন জানান, জেলায় এ পর্যন্ত মোট ১৫ হাজার ৫২৪জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৪৫০জন এবং  ৪৬০জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ১ হাজার ৬১৪ জন চিকিৎসাধীন।