যেভাবে সেরা হলেন মেসি

খেলাধুলা

ম্যানচেস্টার সিটির গোলমেশিন আর্লিং হালান্ড ও ফরাসি ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পেকে পেছনে ফেলে ফের ফিফার বর্ষসেরার মুকুট পরলেন ফুটবল ছন্দের জাদুকর লিওনেল মেসি। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ পুরস্কার জিতলেন বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টাইন এই ফুটবলার। সোমবার রাতে লন্ডনে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৩টায় ফিফা দ্য বেস্ট-২০২৩ (বর্ষসেরা) ফুটবলারের নাম ঘোষণা করা হয়।

টানা দ্বিতীয় এবং সব মিলিয়ে অষ্টমবারের মতো ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি পেলেন মেসি। এর আগে গত বছর আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে এ পুরস্কার জয় করেছিলেন ফুটবল জাদুকর। ২০১৯ সালেও তিনি বর্ষসেরা নির্বাচিত হয়েছিলেন।

ফিফার ভোটিংয়ে অধিনায়ক ও সমর্থকদের ভোট বেশি পেয়েছেন লিওনেল মেসি। আর্লির হালান্ডকে বেশি পছন্দ ছিল কোচ ও মিডিয়ার। ফিফার সদস্য সব দেশের কোচ, অধিনায়ক, একজন করে সংবাদমাধ্যম প্রতিনিধি ও সমর্থকরা এ ভোটিংয়ে অংশ নিয়েছেন।

তাতে মেসি অধিনায়কদের কাছ থেকে যেখানে পেয়েছেন ৬৭৭ পয়েন্ট (১৩ স্কোরিং পয়েন্ট), সেখানে হালান্ডের পয়েন্ট ৫৫৭ (১১ স্কোরিং পয়েন্ট)।

সমর্থকদের থেকেও হালান্ডের (১১ স্কোরিং পয়েন্ট) প্রায় দ্বিগুণ সমর্থন পেয়েছেন আর্জেন্টাইন তারকা (১৩ স্কোরিং পয়েন্ট)। তবে ম্যান সিটি ফরোয়ার্ড ব্যবধানটা সমান করে ফেলেন কোচ ও মিডিয়ার ভোটে। কোচরা মেসিকে দিয়েছেন ৪৭৬ পয়েন্ট (১১ স্কোরিং পয়েন্ট), সেখানে ৫৪১ পয়েন্ট পেয়েছেন হালান্ড (১৩ স্কোরিং পয়েন্ট)। মিডিয়া থেকে মেসির পয়েন্ট ৩১৫ (১১ স্কোরিং পয়েন্ট)।

সেখানে হালান্ড পেয়েছেন দ্বিগুণেরও বেশি, ৭২৯ (১৩ স্কোরিং পয়েন্ট)। ফলে মোট স্কোরিং পয়েন্ট দুজনেরই সমান ৪৮ হয়ে যায়। এই ‘টাই’ ভাঙতেই বেছে নেওয়া হয় সবচেয়ে বেশিজনের কাছ থেকে ৫ পয়েন্ট, অর্থাৎ প্রথম স্থান পেয়েছেন কে সেটি।
ভোটাররা প্রত্যেকেই মেসি, হালান্ড ও কিলিয়ান এমবাপ্পের মধ্য থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বেছেছেন।

প্রথম স্থানের জন্য ৫ পয়েন্ট, দ্বিতীয় স্থানের জন্য ৩ পয়েন্ট ও তৃতীয় স্থানের জন্য ছিল ১ পয়েন্ট। টাইব্রেকিংয়ে দেখা গেল সবচেয়ে বেশিজন মেসিকেই রেখেছেন এক নম্বরে। এবং সেই ব্যবধানটা হালান্ডের চেয়ে বেশ বেশিই। এক্ষেত্রে ১০৭-৬৪ ব্যবধানে এগিয়ে গেছেন আর্জেন্টাইন তারকা। পূর্ণ তালিকায় দেখা যায় ৩৫ স্কোরিং পয়েন্টে তৃতীয় হয়েছেন এমবাপ্পে।

চতুর্থ ম্যান সিটির আরেক তারকা কেভিন ডি ব্রুইন ৩২ পয়েন্ট নিয়ে। নাইজেরিয়ার ভিক্টর ওসিমেন হয়েছেন পঞ্চম।