যেসব পণ্যের দাম বাড়বে

বাংলাদেশ

প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় সংসদে তিনি বাজেট উত্থাপন শুরু করেন। বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী জানান, প্রস্তাবিত বাজেটে বিভিন্ন ধরনের পণ্যে শুল্ক ও কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি জনস্বার্থে কিংবা দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় শুল্ক ও ভ্যাট ছাড় থাকবে।এসব কারণে সার্বিকভাবে অনেক পণ্যের দাম বৃদ্ধি ও কমতে পারে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে স্বাধীন বাংলাদেশের ৫১তম বাজেটের মূল স্লোগান কোভিডের অভিঘাত কাটিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন। যেখানে মূল লক্ষ্য সক্ষমতার উন্নয়ন। 

যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- আমদানি করা পনির ও দইয়ের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ফলে বিদেশি পনির ও দইয়ের দাম বাড়তে পারে।

সিগারেটের নিম্ন স্তরের দশ শলাকার দাম ৩৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এই পণ্যে সম্পূরক শুল্ক ৫৭ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে নিম্ন স্তরের সিগারেটের দাম বাড়তে পারে।

আমদানি করা তৈরি পোশাকে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।ফলে বিদেশি পোশাকের দাম বাড়বে। 

দাম বাড়বে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল, অপরিশোধিত আলকাতরা, বিদেশি পাখি, প্রিন্টিং প্লেট, ক্যাশ রেজিস্ট্রার, ফ্যান, মোটর, লাইটার, দুই স্ট্রোক ও ফোর স্ট্রোক ইঞ্জিনের সিএনজি, কম্পিউটার প্রিন্টার ও টোনার, আমদানি করা মোবাইল চার্জার, কার্বন ডাই-অক্সাইড, আমদানি করা পেপার কাপ এবং প্লেটের।

এ ছাড়া বিলাসবহুল গাড়ি, রিকন্ডিশন ও হাইব্রিড গাড়িতে ২০০০ সিসি থেকে ৪০০০ সিসিতে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।ফলে এসবেরও দাম বাড়বে।