২০১৭ সালের জুন মাসে ইউটিউবে প্রকাশিত হয় ‘বস ২’ ছবির একটি গান। তুমুল সমালোচনার মুখে গানটি পরে নামিয়ে ফেলা হয়। কথা সংশোধন করে দুদিন পরে গানটি আবার তোলা হয়। ওই দুই দিন ফেসবুকে রীতিমতো তোপের মুখে পড়েন ছবির নায়িকা নুসরাত ফারিয়া। সে সময় মানসিকভাবে ভেঙেও পড়েছিলেন তিনি। নুসরাত ফারিয়া বলেন, ‘ওই ঘটনায় খুবই কষ্ট পেয়েছিলাম। ফেসবুকে ওয়ালে আমাকে প্রচণ্ড নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল। এতে আমি, আমার পরিবার, বন্ধুবান্ধব সামাজিকভাবে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছিলাম।
’২০১৫ সালে সিনেমায় আসার পর থেকেই নুসরাত ফারিয়া সাইবার বুলিংয়ের শিকার। এখনো সেই হয়রানি অব্যাহত। নুসরাত ফারিয়া বলেন, ‘যার জীবনে ঘটে, সেই–ই বুঝবে এর বেদনা। সময়টা তাঁর জন্য কঠিন হয়ে ওঠে। মাঝেমধ্যে হতাশ হয়ে পড়ি, বিব্রত হই।
’এই নায়িকার কথা, ‘আমার কাছে মনে হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবির নিচে বা স্ট্যাটাসে যাঁরা বাজে মন্তব্য করেন, তাঁরা তারকাদের প্রকৃত ফ্যান বা ফলোয়ার নন। তাঁরা সুস্থ মানসিকতার মানুষ নন। তারকাদের ওয়ালে ওয়ালে ঘুরে একই ধরনের মন্তব্য লেখাই তাঁদের কাজ।
’এ ধরনের মন্তব্যকে এখন আর খুব একটা পাত্তা দেন না নুসরাত ফারিয়া, ‘কাজ করার যে ক্ষমতা বা শক্তি আমার আছে, এসব মানুষের তা বোঝার ক্ষমতাই নেই। তাঁদের কোনো আদর্শও নেই। যদি থাকত, তাহলে সঠিকভাবে সমালোচনা, মন্তব্য করতেন। মেয়েদের পোশাক–পরিচ্ছেদ, শরীর—এসব নিয়ে মুখস্থ কিছু বুলি দিতেন না। এ কারণে এখন আর এসবে পাত্তা দিই না।’
এ ধরনের মানুষের উদ্দেশে এই অভিনেত্রীর বক্তব্য, ‘তাঁদের এ ধরনের কমেন্টে আমার কিছু যায়–আসে না। কারণ, আমরা যে কাজ করি, তার ভালো-মন্দ দুই–ই আছে। তারকাদের বিয়ে হবে কি হবে না, বিচ্ছেদ হবে কি হবে না, তারকারা কী পোশাক পরবেন, কী পোশাক পরবেন না—তা ওই সব মানুষের কমেন্টের ওপর নির্ভর করে না। এটা তাঁদের বোঝা উচিত।’