হুপিং কাশি: প্রতিরোধ ও চিকিৎসা

লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য

বরডাটেলা পারটুসিস ব্যাক্টেরিয়া থেকে এই সংক্রামক রেসপিরেটরি ইনফেকশন হয়। শুধু বাচ্চাদের নয় বড়দেরও হতে পারে। এক-দু সপ্তাহ ভাইরাল ইনফেকশনের মতো জ্বর হয়, চোখ, নাক থেকে পানি বের হয়। সামান্য কাশি হয়। দুই থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে হঠাৎ হঠাৎ কাশি হয়, অল্প সময়ের মধ্যে বহুবার একনাগাড়ে কাশি হতে পারে।

থেমে গেলে লম্বা শ্বাসের সঙ্গে ‘হুপ’ আওয়াজ হয়। বাচ্চা বমিও করে ফেলতে পারে ও কাশি বন্ধ হয়ে যায়। কাশির দুটো স্পেলের মাঝে বাচ্চা স্বাভাবিক থাকে। কাশি ভালো হতে দু’সপ্তাহ থেকে দু’মাস পর্যন্ত লাগতে পারে। তারপরও এক বছর পর্যন্ত সামান্য ভাইরাল ইনফেকশন হলেও কাশির দমক আসতে পারে।

রোগ নির্ণয়

দুই সপ্তাহের বেশি মাঝে মাঝেই দ্রুতলয়ে কাশি হতে থাকলে বা নিঃশ্বাসের সঙ্গে হুপ আওয়াজ হলে ডাক্তাররা হুপিং কফের সন্দেহ করেন। নিশ্চিত হতে ডিপ থ্রোট সোয়াব কালচার করা হয়।

জটিলতা

ছয় সপ্তাহ বয়সের আগে বাচ্চার হুপিং কাশি হলে প্রাণ সংশয় থেকে যায়। এছাড়া অন্য কোনো অসুখের সঙ্গে হুপিং কাশি হলেও জটিলতা বাড়তে পারে। নিউমোনিয়াও হতে পারে। টিউবারকিউলোসিস সুপ্ত থাকলে পুরোপুরি প্রকাশ পায়। রক্তক্ষরণের প্রবণতা থাকলে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। এর কারণে কানে, গলায় অন্য জীবাণুঘটিত ইনফেকশন হতে পারে।

প্রতিরোধ

হুপিং কফের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন আছে। বাচ্চার ছয় সপ্তাহ, দশ সপ্তাহ এবং চৌদ্দ সপ্তাহ বয়স হলে টিকা দিতে হয়। বাচ্চার বয়স দেড় এবং পাঁচ বছর হলে আবার টিকা নিতে হয়। যেহেতু বড় হয়েও হুপিং কাশি হতে পারে, তাই ১১-১৪ বছরের মধ্যেও হুপিং কফের ভ্যাকসিন নেওয়া জরুরি।

চিকিৎসা

এরিথ্রোমাইসিন জাতীয় এন্টিবায়োটিক খাওয়া জরুরি। তাহলে ভোগান্তি কিছুটা হলেও কম হয়। এছাড়া বাচ্চাকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ান। শরীর ‘হাইড্রেটেড’ রাখতে বেশি করে পানি খেতে হবে। স্যুপ বা ফলের রস খাওয়ানো যেতে পারে।