গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের আগাম চাহিদা নিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, এবার রমজান এবং গ্রীষ্মকালে আগের চেয়েও বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে। এই চাহিদা মোকাবিলায় সরকার এখনই উদ্যোগ নিচ্ছে। ইতোমধ্যে আগামী গ্রীষ্মের চাহিদা সাড়ে ১৭ হাজার মেগাওয়াট নির্ধারণ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, জানুয়ারির শেষ দিক থেকে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে থাকে। জুন-জুলাই মাস পর্যন্ত এই চাহিদা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে। সংকট সামাল দিতে সরকার আগে-ভাগে এলএনজি টার্মিনাল সংস্কার করতে পাঠিয়েছে।
নসরুল হামিদ তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম সংবাদ সম্মেলন করলেন। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই কর্মকর্তাদের আগামী ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন নসরুল হামিদ। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধানে গুরুত্ব দিচ্ছি। আশার খবর হচ্ছে আমরা যে গ্যাসকূপ খনন করেছি, সেগুলোতে সফল হয়েছি।’
নিজস্ব গ্যাসের অনুসন্ধান দেশের সবচেয়ে বড় উদ্যোগ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি কূপ খনন করা হবে। এরপর আরও ১০০ কূপ খনন করা হবে। আমরা আরও দুটি এলএনজি টার্মিনাল নিয়ে আসছি।’
নসরুল হামিদ বলেন, আগামী ২০২৭ সালে গ্যাসের চাহিদা বেড়ে হবে ৬ হাজার মেগাওয়াট। এই চাহিদা মোকাবিলায় এখনই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামী দুতিন মাসের মধ্যে তেল কী পরিমাণ পাওয়া যাবে, সে বিষয়েও নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। সেই সঙ্গে জ্বালানি বিষয়ে একটি মাস্টার প্ল্যান করার উদ্যোগের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।