স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গর্ভবতী নারী ও স্তন্যদানকারীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠিত ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব এবং অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ডা. শামসুল হক স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় গর্ভবতী নারীদের টিকা দেওয়ার শর্তাবলীতে বলা হয়েছে, গর্ভবতী নারী টিকা গ্রহণের দিন অসুস্থ থাকলে তাকে কোডিড-১৯ টিকা প্রদান করা যাবে না। অনিয়ন্ত্রিত দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত গর্ভবতী নারীকে কোডিড-১৯ টিকা প্রদান করা যাবে না। কোনো গর্ভবতী নারীর ভ্যাকসিন অ্যালার্জির পূর্ব ইতিহাস থাকলে তাকে কোডিড-১৯ টিকা প্রদান করা যাবে না। কোনো গর্ভবতী নারী যদি কোডিড-১৯ ভ্যাকসিনের ১ম ডোজ গ্রহণের পর এইএফআই কেস হিসাবে শনাক্ত হন তবে তাকে দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করা যাবে না।
একইসঙ্গে নির্দেশনায় বলা হয় সম্মতিপত্রে টিকাগ্রহীতা/আইনানুগ অভিভাবক ও কাউন্সেলিং চিকিৎসকের স্বাক্ষর ব্যতীত টিকা প্রদান করা যাবে না।
নির্দেশনায় তিন নাম্বারে কাউন্সেলিং উল্লেখ করে বলা হয়েছে, কোডিড-১৯ টিকা গ্রহণে ইচ্ছুক গর্ভবতী নারীকে টিকা প্রদানের পূর্বে অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে অবহিত করতে হবে।
এর আগে গত ২ আগস্ট অন্তঃসত্ত্বা এবং যেসব মা সন্তানকে বুকের দুধ পান করাচ্ছেন তাদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার সুপারিশ করে জাতীয় টিকা পরামর্শক কমিটি (ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ) নাইট্যাগ।
নাইট্যাগের সদস্য ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এটা করতে চায়। তাই আমরা সবকিছু বিবেচনা করে সম্মতি দিয়েছি টিকা দেওয়ার জন্য। এর আগে গত পরশু এ বিষয়ে আমাদের মিটিং হয়েছে, সেখানেই সম্মতি দিয়েছি যে এটা করা যাবে।