শুরুতেই ডাক মারলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এরপর একে একে দ্রুত আউট হয়ে গেলেন সাকিব ও মিঠুন।
তবে ওপেনিংয়ে নেমে দেখেশুনে খেলে দলকে খাদের কিনারা থেকে তুললেন লিটন দাস।
অবশেষে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরির দেখা পেলেন লিটন দাস।
লিটনের সেঞ্চুরি ও পরে আফিফের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে ৯ উইকেটে ২৭৭ রানের বড় টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ।
প্রথমে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও পরে আফিফকে নিয়ে এগিয়ে গেছেন লিটন।
রিয়াদের সঙ্গে গড়লেন ৯৩ রানের দুর্দান্ত এক জুটি।
১১০ বলে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান লিটন। ৮ বাউন্ডারিতে এ সেঞ্চুরি সাজিয়েছেন তিনি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমেছেন লিটন।
কিন্তু শুরু থেকেই সতীর্থদের আসা-যাওয়া দেখেছেন। ৭৪ রান না পেরুতেই চোখের সামনে দিয়ে টপঅর্ডারের চারজন ব্যাটসম্যানকে আউট হতে দেখেন।
তৃতীয় ওভারে শূন্য রানে আউট হন তামিম। তখনই সতর্ক হয়ে যান লিটন। তামিমের পর সাকিব, মিঠুন ও মোসাদ্দেক যখন অবিবেচকের মতো শট খেলে আউট হয়েছেন লিটন তখনও দেখেশুনে খেলেন।
যার ফল পেলেন তিনি। তামিমের আউটের পর সাকিব ব্যাটিংয়ে নেমে ভালোই খেলছিলেন।
ওয়ান ডাউনে নেমে ভালোই ব্যাট চালাচ্ছিলেন সাকিব।
বেশ কিছুদিন ধরে ফর্ম নেই তার। এই ম্যাচ দিয়ে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিতও দিচ্ছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
কিন্তু বেশি দূর যেতে পারলেন না। ২৫ বলে ১৯ রান করে বিদায় নিলেন তিনিও।
৮.২ ওভারে সেই মুজারাবানির দ্বিতীয় ডেলিভারিটি স্কয়ার কাট করতে গিয়ে কভারে বার্লের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দেন সাকিব।
এরপর বাজে শট খেলে ১৯ রানে বিদায় নেন মোহাম্মদ মিঠুনও।
মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও বেশিক্ষণ টেকেননি। গাভারার বলে উইকেটরক্ষক চাকাভার হাতে ক্যাচ দিয়ে মাত্র ৫ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনিও।
এরপর মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে ওপেনার লিটন স্কোর দুই শ পার করেন।
৩৩ রানে করে জঙ্গির বলে আউট হয়ে যান রিয়াদও। সেঞ্চুরি করেই সাজঘরের পথ ধরেন লিটন দাসও।
এরপর আফিফ ও মেহেদী হাত খুলে খেলেন। ৩৫ বলে ৪৫ করেন আফিফ আর ২৫ বলে ২৬ করেন মেহেদী।
শেষ দিকে পর পর ৩ উইকেট পড়ে গেলে বাংলাদেশ ২৭৬ রানে গিয়ে থামে।