৭ আগস্ট থেকে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে মোট ১৪ হাজার কেন্দ্রে একযোগে গণটিকাদান শুরু হবে। সাত দিনে প্রায় এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। এই টিকায় বয়স্ক মানুষ অগ্রাধিকার পাবেন। একই সঙ্গে শ্রমজীবী মানুষ, দোকানদার, গণপরিবহনের কর্মীদের নিজ নিজ ওয়ার্ড থেকে টিকা নিতে হবে। টিকা না নিয়ে কেউ কোনো কর্মস্থলে আসতে পারবেন না।
আজ মঙ্গলবার করোনাভাইরাসের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক সভা শেষে এসব তথ্য জানান বৈঠকের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এই সভায়ই আজ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আরও ৫ দিন বাড়িয়ে ১০ আগস্ট পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, টিকা না নিয়ে কেউ দোকান খুলতে পারবেন না বা বাইরে বেরোতে পারবেন না। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যাঁরা বাইরে চলাফেরা করবেন, তাঁরা টিকা না নিয়ে চললে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, সরকারের হাতে এখন প্রায় সোয়া কোটি টিকা আছে। এ ছাড়া, এ মাসে আরও প্রায় এক কোটি টিকা আসবে। আর চীনের সঙ্গে মিলে স্থানীয়ভাবেও টিকা উৎপাদনের কাজ এগিয়ে চলছে।
সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, এখন ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিধিনিষেধ রয়েছে। তবে ১ আগস্ট থেকে রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে ৫ আগস্টের পর বিধিনিষেধ আর বাড়বে কি না!
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ঈদের পর গত ২৩ জুলাই থেকে বিধিনিষেধ চলছে, যা ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। এবার সরকার থেকে ‘কঠোরতম’ বিধিনিষেধের কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে সেটা আর রাখতে পারেনি। গত শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক আদেশে জানানো হয়, ১ আগস্ট থেকে রপ্তানিমুখী সব শিল্প ও কলকারখানা চলমান বিধিনিষেধের আওতাবহির্ভূত করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পর শ্রমিকেরা গ্রামের বাড়ি থেকে দুর্ভোগ নিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন কলকারখানা অভিমুখে রওনা হন। একপর্যায়ে গত রোববার দুপুর পর্যন্ত গণপরিবহন চালুর অনুমোদন দেয় সরকার। লঞ্চের সময় অবশ্য গতকাল সোমবার ভোর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।