আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের মানুষ সরকারের নয়, আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ বিএনপি নেতৃত্বের পতন চায়। কবে বিএনপির সম্মেলন হয়েছে ফখরুল সাহেবের কী মনে আছে? তারা আন্দোলনেও ব্যর্থ, নির্বাচনেও ব্যর্থ। বিএনপির নেতাদের টপ টু বটম অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।
রোববার রাজধানীর সড়ক ভবনে ঢাকা পরিবহণ সমন্বয় কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পরিষদের সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (বিএনপি) নিজের ঘরে চর্চা করে না। আওয়ামী লীগে প্রতি ৩ বছর পরপর সম্মেলন হয়, প্রত্যেক মাসে সম্পাদকমণ্ডলীর সভা হয়। প্রতি ৬ মাসে জেলাগুলোকে নিয়ে বর্ধিত সভা হয়। এক বছরে আমাদের জাতীয় কমিটির সভা হয়।
তিনি বলেন, আমি পিটার হাসকে (মার্কিন রাষ্ট্রদূত) অনুরোধ করব, ডেমোক্রেসির কথা বলে যারা ডেমোক্রেসিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে সেই বিএনপিকে আপনার জিজ্ঞেস করুন, তাদের ঘরে ডেমোক্রেসি নেই কেন? কেন তারা সম্মেলন করেন না? কয় বছর আগে সম্মেলন করেছে?
ওবায়দুল কাদের বলেন, যাদের ঘরে গণতন্ত্র নেই, যাদের দলের মধ্যে গণতন্ত্র নেই, তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে তাদের কোনো অবদান নেই। তারা গণঅভ্যুত্থানের স্বপ্ন দেখে। কিন্তু আন্দোলনে তারা জনসাধারণকে যুক্ত করতে পারেনি।
বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক হবে। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। আওয়ামী লীগ সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচনে অংশ নিয়ে দেখুন আপনাদের জনপ্রিয়তা কতটুকু আছে। পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে আসতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্ব সংকটের মধ্যেও সরকার সবকিছু সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে। এ সংকটে অন্যান্য দেশে বিরোধী দল দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে, সরকারকে সহযোগিতা করে। কিন্তু আমাদের দেশে বিএনপি সরকারকে সহযোগিতা না করে সংঘাতে যাচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেই আলাপ-আলোচনা করছেন। সামাজিক মাধ্যমে উলটাপালটা তথ্যের বিষয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।’
এর আগে তিনি সড়কে ঢাকা পরিবহণ সমন্বয় কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পরিষদের ১৬তম সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় বাস রুট রেশনালাইজেশনের জন্য রাজধানীতে চারটি বাস টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত ও সমন্বিতভাবে প্রকল্প নিতে কমিটি গঠন করা হয়। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সড়ক সচিব এবিএম আমানউল্লাহ নুরী প্রমুখ।