আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১০ এপ্রিল থেকে রাজধানীর ধানমন্ডি সাইয়্যেদানা কমিউনিটি সেন্টারে শুরু হয়েছে বৈশাখী ও ঈদ মেলা।
ঈদের কেনাকাটাকে আরও সহজ করতে এক্সোটিক এভন্টস এ মেলার আয়োজন করছে।ঈদ মেলার মূল লক্ষ্য হচ্ছে সবাই যেন এ মেলা থেকে তাদের পছন্দের পোশাক ও বিশেষ করে নারীরা তাদের পোশাকসহ সাজসজ্জার সবকিছু কিনতে পারেন।
বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ও পাকিস্তানের পোশাক এখানে পাওয়া যাবে। ঈদ মেলা ১০ এপ্রিল থেকে ১৯ এপ্রিল প্রতিদিন সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে শুরু হয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত চলছে।
মেলায় আছে রঙ বেরঙের বাহারি শাড়ি, বিভিন্ন ধরনের পোশাকের স্টল, জুয়েলারি সরঞ্জাম, হেনা/মেহেদীসহ আকর্ষণীয় বিভিন্ন ধরনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক স্টল। এছাড়া মেলায় ইফতারির সুব্যবস্থা রয়েছে।
এক্সোটিক এভন্টসর স্বত্বাধিকারী জিসান আহমেদ বলেন, করোনোকালে গত দুই বছরে আমরা ঘরবন্দি ছিলাম, এ অবস্থায় অনেকেই একে অপরের সঙ্গে মিলিত হতে পারিনি, অনেকেই কেনাকাটা থেকে ছিলাম বঞ্চিত। পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে সবাই ঈদ মেলায় অংশগ্রহণ করে পরিবারের সদস্যদের চাহিদা অনুযায়ী কেনাকাটা করে ঈদের আনন্দ উপভোগ করবেন এটাই আমার বিশ্বাস।
আফসা গ্লামার’র স্বত্বাধিকারী আম্ব্র ইসরাইল জানান, তার স্টলে পাকিস্থানের নাম করা সব ব্রান্ডের হেয়ার কালার, কসমেটিকস, বিভিন্ন ব্রান্ডের পারফিউম, সানগ্লাস, জুয়েলারি সরঞ্জাম এবং দেশী-বিদেশী ব্রান্ডের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে । তিনি পাকিস্থান থেকে আমদানী করেন ।
জিকো’র স্বত্বাধিকারী ঈশিকা জাহান জানান, মেলায় আমরা নতুন নতুন কালেকশন নিয়ে আসছি। এর মধ্যে নারীদের প্রচুর ইন্ডিয়া ও পাকিস্তানের সেলোয়ার কামিজের পাশাপাশি দেশীয় কাপড়ের সমারহ থাকছে। তিনি জানান, পরম করুণাময়ের কাছে অশেষ অশেষ কৃতজ্ঞতা যে দীর্ঘ দুই বছর পর নতুন করে মেলায় আবার সবার সঙ্গে দেখা হবে। তিনি তার স্টলের ক্রেতাদের জন্য এ বছর সারপ্রাইস উপহারের পাশাপাশি ডিসকাউন্টের বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছেন।
সায়ার’স কালেকশান’স স্বত্বাধিকারী জান্নাত জানান, তার স্টলের সব প্রডাক্টই পাকিস্থানী থ্রি-পিচ ও সৌন্দর্য বর্ধনকারী অথেনটিক প্রোডাক্ট ।
ট্রেন্ড জোন’র স্বত্বাধিকারী শিফা জানান, আমাদের স্টলে অনেক ধরনের এক্সক্লুসিভ রেডিমেট ড্রেস, বোরখা, ওয়ান পিচ, টু-পিচ, ও থ্রি-পিচসহ সব ধরনের পোশাক থাকবে। এছাড়া বিভিন্ন অফারসহ রয়েছে বিশেষ মূল্যছাড়।
আলোক চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক ও দৃক পিকচার লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা শহীদুল আলম বলেন, ধনী দরিদ্রের ভেদাভেদ ভুলে আসছে ঈদে সবাই আমরা আনন্দ উপভোগ করব। সেই লক্ষ্যে এক্সোটিক এভন্টসএই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে ঈদের কেনাকাটায় উদ্বুদ্ধ করবে বলেই আমার বিশ্বাস। আর আমি এটিকে শুধু কেনাকাটার মেলা হিসেবেই দেখছি না, দেশীয় সামাজিক সংস্কৃতি, আমাদের মাঝে একে অপরের সহমিলনের এক অপূর্ব সেতুবন্ধন হিসেবে।
১০ দিনব্যাপী ঈদ মেলায় কেনাকাটার পাশাপাশি বাঙালিদের মনের খোরাক ও নির্মল আনন্দ দিতে শতভাগ সফল হবে এমনটাই মনে করছেন আয়োজকরা।ঈদ মেলার স্পন্সর রিভানা, পার্সেল ম্যাজিক ও জিকো এবং মিডিয়া পার্টনার ফড়িং মিডিয়া একাডেমি ।