মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গলে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কনকনে ঠাণ্ডা ও ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে গোটা জনপদ। ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তীব্র ঠাণ্ডায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী, খেটেখাওয়া চা বাগানের শ্রমিকরা।
ঘন কুয়াশায় শীতের তীব্রতায় কাবু হয়ে পড়েছে জেলার জনজীবন। গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির ফোটার মতো পড়ছে কুয়াশা। এখনো সরকারি বা বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়নি। শীত নিবারণে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার দিকে তাকিয়ে আছে চা শ্রমিকসহ ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষরা।
হাড়কাঁপানো শীতে সর্দি-কাশি, ঠাণ্ডা, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, হাঁপানিসহ নানা রোগ নিয়ে শিশু এবং বয়স্করা ভর্তি হয়েছেন বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে।
কমলগঞ্জ পৌর এলাকার রিকশাচালক চনু মিয়া বলেন, কয়েক দিন থাকি (থেকে) খুব ঠাণ্ডা। মানুষ বাড়িঘর থাকি (থেকে) বার হর (হচ্ছে) না। বাজারো (বাজারে) মানুষ একবারে কম, রিকশার মাঝে মানুষ উঠেনা ঠাণ্ডা মনে করিয়া (করে)। এমন শীতর কারণে আমরাও বিপদে পড়েছি। সংসার চালাইতাম (চালাতে) না পেটো ভাত দিতাম রে বাবা বাক্কা চিন্তাত (চিন্তিত) আছি।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, শ্রীমঙ্গল ও আশপাশের এলাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চারিদিকে রাত থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে।
আবহাওয়াবিদ মো. আনিসুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ৩ দিনের পূর্ভাবাস অনুযায়ী তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে। এই এলাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামীতে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে।