মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ইমামপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতায় প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ভুক্তভোগী নাজিমউদ্দিন বলেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসের সমর্থক ছিলাম। নির্বাচনে তিনি পরাজিত হওয়ায় বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়সাল বিপ্লবের সমর্থকরা আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালায়। টানা দুই দিনের হামলায় অন্তত ২০-৩০টি বসতঘরে ভাঙচুর এবং লুটপাট চালানো হয়েছে।
আরেক ভুক্তভোগী জুয়েল প্রধান বলেন, নির্বাচনের পর থেকে বেছে বেছে নৌকা সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটছে। হামলা মামলার ভয়ে অসংখ্য মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এদিকে বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থক সোহেল প্রধান বলেন, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তারা বিজয়ী হওয়ার পর আমরা যারা পরাজিত প্রার্থী মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহর সমর্থক ছিলাম আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছিল। সেবার ২৫টি বসতঘরে ভাঙচুর এবং লুটপাট চালানো হয়। দীর্ঘদিন ধরে কয়েকশ মানুষ এলাকার বাইরে ছিলেন। এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফয়সাল বিপ্লব বিজয় লাভ করায় গ্রামছাড়া লোকজন আবার গ্রামে ফিরতে শুরু করেছেন। এখন আপনারা যা দেখছেন তা পাল্টা হামলা; যার প্রেক্ষাপট তারাই তৈরি করেছে।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাজিব খান বলেন, আমি সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কয়েকটি বাড়িঘরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।