লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে তালাকপ্রাপ্ত তিন সন্তানের জননীকে বিয়ের প্রলোভনে গত এক বছর যাবত ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে মেহরাজ (২৭) নামে এক ইলেকট্রনিক মেকানিকের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী নারী জানান, প্রেমিক যুবক মেহরাজের কারণে তার স্বামীকে ২০২০ সালে তালাক দেন।
তিন সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়ে বাধ্য হয়ে স্থানীয় ইলেকট্রিক মেকানিক ইঞ্জিনিয়ার মেহরাজের মাধ্যমে তাদের বাজারের বাসায় এটি কক্ষ ভাড়া নেন। তার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে মেহরাজ বিভিন্নভাবে ফুসলিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে। প্রবাসী স্বামীকে তালাক করিয়ে তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক বজায় রাখে। বিভিন্ন সময় তার কাছ থেকে সাড়ে সাত লাখ টাকা নেয় মেহরাজ।।
ওই নারী বলেন, গত দেড় বছর আগে একটি অটো-সিএনজিতে তাদের পরিচয় হয়। তাদের সম্পর্কের কথা মেহরাজের পিতা-মাতাসহ এলাকার সবাই জানেন। পরে গোপনে অজ্ঞাত স্থানে কাজি দিয়ে বিয়েও করে। পরে অভিভাবকদের সামনে কাবিন করবে বলে জানায়। আমার কাছ থেকে রায়পুর শহরে তার ইঞ্জিনিয়ার দোকান দেয়ার নামে বিভিন্ন সময় সাড়ে সাত লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এখন মেহরাজ আমাকে বিয়ের কাবিন করবে না, তবে পাওনা টাকা দেবে বলে আমাকে জানায়। সে পুনরায় বিয়ে ও কাবিন না করলে সমাজে মুখ দেখানো যাবে না। আর আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় থাকবে না।
জানা গেছে, এলাকাবাসী মেহরাজ এবং তালাকপ্রাপ্তা নারীকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবেই জানতেন। অভিযুক্ত মেহরাজ ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
তবে মেহরাজের পিতা-মাতা বলেন, মেয়েটি আমাদের বাজারের বাসায় তার তিন সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকত। মেয়েটির দুই আত্মীয় সৌদি আরব থাকেন। এ সুবাদে মেহরাজকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সাড়ে তিন লাখ টাকা মেয়েটি নেয়। কিন্তু বিদেশ না নিয়ে উল্টো মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দাবি করছে। বাড়ির ও বাজারের কয়েকজন লোক এসব ষড়যন্ত্র করছে। উল্লেখিত নারীর সঙ্গে মেহরাজের মোবাইলে কথা হয়েছে মাত্র।
এ ব্যাপারে রায়পুরের কেরোয়া ইউপি সদস্য মো. সোহেল বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই নারী আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছিলেন। ধর্ষণের বিষয় সালিশ বৈঠকে মীমাংসা করা যায় না বিধায় তাকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। পরে বাজারের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে মেহরাজকে বিয়ে করার জন্য নির্দেশনা দিলে সে তা না করে পলাতক রয়েছে।