কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে ব্রাজিল। গ্রুপ পর্বে চার ম্যাচ খেলেছে তিতের দল। এই চার ম্যাচে মাঠে ব্রাজিল দলের ২৪ নম্বর জার্সিটি কেউ দেখেছেন?
রিও ডি জেনিরো আদালতের এক বিচারক মাঠে নেইমারদের কাউকে ২৪ নম্বর জার্সিটি পরে খেলতে দেখেননি। এ জন্য সেই বিচারক ব্যাখ্যা চেয়েছেন ব্রাজিলের ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) কাছে, কেন ২৪ নম্বর জার্সিটি নেই?
বিচারক ব্যাখ্যা দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন ৪৮ ঘণ্টা। ২৪ সংখ্যাটি ব্রাজিলে সমকামীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।কোপা আমেরিকায় এবার ১০টি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে ৯টি দলেই ২৪ নম্বর জার্সিটি রয়েছে। আর্জেন্টিনা দলে যেমন ২৪ নম্বর জার্সিটি পাপু গোমেজের। কলম্বিয়া দলে জন লুকুমির, চিলি দলে লুসিয়ানো আরিয়াগাদার।
কিন্তু ব্রাজিল দলে ২৪ নম্বর জার্সিটি নেই, এই অভিযোগ তুলেছে এলজিবিটিভুক্ত সমকামী সম্প্রদায় ‘রেইনবো সিটিজেনস’। দেশটির অবৈধ জুয়া খেলায় ২৪ সংখ্যাটি হরিণের সঙ্গে সম্পৃক্ত, যা দেশটিতে সমকামীদের ধ্যান–ধারণা বহন করে। এর আগে ব্রাজিলের অনেক খেলোয়াড় তাঁদের ক্লাবের ২৪ নম্বর জার্সি পরে খেলতে আপত্তি তুলেছেন।
সিবিএফের কাছে তাই প্রশ্ন রেখেছেন, ২৪ নম্বর জার্সিটি কি ইচ্ছা করেই দেওয়া হয়নি? এমন খবর জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
জাতীয় দলে জার্সির নম্বর দেওয়ার বিষয়টি কে ব্যবস্থাপনা করেন এবং খেলোয়াড়দের জার্সি নম্বর দেওয়ার নির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা আছে কি না, সেসবও জানতে চেয়েছেন বিচারক।
সিবিএফের কাছে এ নিয়ে রয়টার্স জানতে চাইলে তারা কোনো জবাব দেননি। বিচারক রিকার্ডো সাইফার বলেছেন, ‘এলজিবিটি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের প্রতি বৈষম্য থামানোর লড়াইয়ে সমাজে তাদের সহ–অবস্থান নিশ্চিতে স্বীকৃতিগুলোর নীতিমালা সবাই জানে।
’ব্রাজিলে সমকামিতা ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করলে ২০১৮ সালে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর জেলবাসের শাস্তি নির্ধারণ করেন আদালত। দেশটিতে সমকামীদের প্রতি বিদ্বেষী আচরণ নতুন নয়। শুধু ২০১৮ সালেই ব্রাজিলে ৪২০জনের বেশি সমকামী মানুষকে হত্যা করা হয়।