রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলা নিয়ে ঝামেলা

খেলাধুলা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) চলমান আন্তঃবিভাগ ফুটবল খেলায় রেফারির দেওয়া সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল স্টেডিয়ামে এ ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল স্টেডিয়ামে আইন বিভাগ ও রসায়ন বিভাগের আন্তঃফুটবল প্রতিযোগিতা চলছিল। নির্ধারিত সময় শেষে ফলাফল ড্র থাকায় খেলাটি ট্রাইবেকারে গড়ায়। ট্রাইবেকারের প্রথম দুটি শটে রসায়ন বিভাগ গোল পেলেও এই দুই শটে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হয় আইন বিভাগ।

এরপর রসায়ন বিভাগের খেলোয়াড়ের তৃতীয় শট গোলবারে সীমানা অতিক্রম করে ফিরে আসে। সেটাকে গোল হিসেবে ঘোষণা দেয় রেফারি। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত না মেনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত।
 
পরে গ্যালারিতে থাকা আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা গেট দিয়ে মাঠে প্রবেশের চেষ্টা করলে বাধা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্টেডিয়ামে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক। এ সময় তিনি দরজা দিয়ে স্টেডিয়ামে ঢুকতে গেলে পিছন দিক দিয়ে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা জোরে দরজা ধাক্কা দেয়, ফলে দরজার আঘাতে মাথা ফেটে আহত হন প্রক্টর। 

সহকারী প্রক্টর ড. আরিফুল রহমান জানান, এ ঘটনায় আহত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এখন তিনি অনেকটা সুস্থ আছেন। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক হাসিবুল আলম প্রধান বলেন, প্রক্টরের সাথে যা ঘটেছে সেটি দুর্ঘটনাবশত ঘটেছে। তবে খেলাধুলা সম্প্রীতি বজায় রাখার একটি মাধ্যম। যার মাধ্যমে মানুষের মাঝে সম্প্রীতির সৃষ্টি হয়। তাই খেলাধুলা করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এমন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা কাম্য নয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকেই সহনশীল আচরণ বজায় রাখতে হবে।

এর আগে, গত ১১ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট চলাকালে কৃষি অনুষদভুক্ত ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সস বিভাগ ও আইবিএর শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। 

এ সময় আইবিএ শিক্ষার্থী সিনহা কর্তৃক ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সাইন্স বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মোইজুর রহমানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে সেদিনই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সে ঘটনার তদন্ত এখনো চলছে।