ঈদুল আযহা ও মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে লকডাউন শিথিল করেছে সরকার। ১৫ জুলাই সকাল ৬ টা থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে দোকানপাট ও বিপণিবিতান খোলা থাকছে।
মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা লকডাউন শিথিলের প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ঈদ–পূর্ববর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে ১৪ জুলাই, অর্থাৎ কাল বুধবার মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ছয়টা পর্যন্ত সব ধরনের বিধিনিষেধ শিথিল করা হলো। এ সময়
জনগণকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে। মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে গত ২৮ জুন থেকে সীমিত আকারে বিধিনিষেধ শুরু হয়। সেদিন থেকেই সারা দেশের দোকানপাট ও বিপণিবিতান বন্ধ রয়েছে। পরে ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়, যা শেষ হবে বৃহস্পতিবার সকালে।
তবে ব্যবসায়ীরা জানান, কোরবানির ঈদকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগে শুরু হয়। লকডাউনের কারণে সেই সময়ের বড় অংশই শেষ। শেষ ছয় দিন ব্যবসার সুযোগ পেলে কর্মীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার অর্থের কিছুটা জোগাড় করতে পারবেন। তবে মুনাফা করার সম্ভাবনা একেবারেই কম। কারণ, করোনা বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই কেনাকাটায় নিরুৎসাহিত হবেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় গত ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় সাত দিনের সর্বাত্মক লকডাউন। এই বিধিনিষেধ ছিল ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত। পরে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ৭ দিন অর্থাৎ ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬ টা পযর্ন্ত ৮ দিন লকডাউন শিথিল থাকছে।