সুদর্শন এক তরুণের টিকটক ও নিজের কয়েকটি চলচ্চিত্রের গানের ভিডিও জোড়া লাগিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর।
ভিডিও দেখে অনেকের মনে এখন প্রশ্ন— টিকটক ভিডিওতে শাবনূরের সঙ্গে থাকা তরুণটি কে? তার সঙ্গে কি তা হলে শাবনূরের কোনো নতুন সম্পর্ক তৈরি হয়েছে?
তবে বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন শাবনূর নিজেই। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে মোবাইল ফোনে একটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন— ভিডিওতে যার সঙ্গে আমাকে দেখেছেন, তার নাম সিয়াম। হয়তো ভবিষ্যতে ওকে সিনেমায় দেখা যেতে পারে। অন্য কিছু ভাবার মতো কিছুই এখানে হয়নি।
শাবনূর জানান, এই তরুণের ভিডিও পোস্ট করার পর তার সঙ্গে কয়েকজন পরিচালক এবং একাধিক প্রযোজক যোগাযোগ করেছেন। এর মধ্যে জাজ মাল্টিমিডিয়ার আবদুল আজিজও যোগাযোগে আছেন। সবাই এই তরুণের খবর জানতে চান এবং তার সঙ্গে দেখা করতে চান। কথা বলে পছন্দ হলে তাকে নিয়ে সিনেমাও বানাতে চান। নেক্সট হিরো হিসেবে কেউ কেউ ভাবতে চাইছেন বলেও আভাস দিয়েছেন নায়িকা।
অভিনেত্রী আরও বলেন, যারাই এ তরুণকে নিয়ে নানা কিছু ভাবছেন, তাদের এত সন্দেহ করার মতো কিছু নেই। আরেকটি কথা— ন্যাড়া কিন্তু বারবার নয়, একবারই বেলতলায় যায়। তাই বলছি— কেউই অন্য কিছু একদম ভাববেন না।
‘আবারও বলছি—ওর নাম সিয়াম, ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে। কিন্তু সিনেমার প্রতি তার আগ্রহ রয়েছে। আমার পরিচিত। ভালো পরিবারের ছেলে। আমিও চাইছি, নায়ক হিসেবে ওর অভিষেক হোক।’
চিত্রনায়িকা শাবনূর বলেন, আমার মাধ্যমেও কেউ যদি নায়ক হওয়ার সুযোগ পায়, তা লে কেন করব না! শুধু নায়ক নয়, নায়িকা হতে চায় এমন কাউকেও আমি সুযোগ দেব। খলনায়ক হতে চায়, তেমন কাউকেও সুযোগ দেব।
বাংলা সিনেমার দুই দশকের রানি শাবনূর এখন অভিনয় থেকে দূরে। দেশেও নেই দীর্ঘ সময় ধরে। থাকেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। ছেলেকে নিয়েই ভুবন গড়েছেন এককালের পর্দা কাঁপানো অভিনেত্রী।
বিয়ের বছর দুয়েক পর ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান শাবনূর; সেখানে ভাইবোনসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে স্থায়ীভাবে থাকছেন তিনি।
মাঝেমধ্যে বাংলাদেশে আসেন শাবনূর। বছর তিনেক আগে মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘এতো প্রেম এতো মায়া’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এর পর আর তাকে কোনো চলচ্চিত্রে দেখা যায়নি।
২০২০ সালের এপ্রিলে তার জীবনে সবচেয়ে বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটে যায়। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী স্বামী অনিক মাহমুদের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় শাবনূরের। সেই ধকল কাটাতে সময় লাগছে শাবনূরের।
একমাত্র ছেলে আইজান নেহানকে নিয়ে এখন সিডনিতে থাকেন তিনি। নেহান পড়াশোনা করে সিডনির একটি স্কুলে। শাবনূরের চাওয়া— একমাত্র ছেলে আদর্শবান মানুষ হবে।