ভিয়েনার বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
মহামারি কোভিড-১৯ এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন বিধিনিষেধের কারণে এ উপলক্ষে একটি অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ শেখ কামালের কর্মময় জীবনের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আলোচনায় অংশগ্রহণ করে বক্তারা শেখ কামালের বর্ণাঢ্য ও কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, জাতির পিতার সন্তান হিসেবে শেখ কামাল বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে গড়ে উঠেছিলেন। জাতির পিতার মতোই তার মধ্যেও নেতৃত্ব দেওয়ার অসামান্য গুণাবলি বিদ্যামান ছিল এবং সেই গুণাবলির কারণেই মাত্র একুশ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণসহ স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে একজন সফল সংগঠক হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে সক্ষম হয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে মান্যবর রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সব শহিদ এবং মুক্তিযুদ্ধের সব শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, একজন দক্ষ ও বিচক্ষণ সংগঠক হিসেবে শেখ কামাল বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সংস্কৃতির উন্নয়ন এবং বিকাশে যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন তা বাংলাদেশের যুব সমাজের কাছে অসীম অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, শহিদ শেখ কামালের জীবন ও কর্ম এবং তার গুণাবলী প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দিতে হবে। সবশেষে তিনি জাতির পিতার প্রতি আবারো শ্রদ্ধা জানিয়ে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে তার বক্তব্য শেষ করেন।
পরে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।