টালিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তী তৃতীয় স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ চান। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন, আর ফিরবেন না রোশানের সংসারে। বেচারা রোশান শ্রাবন্তীর সঙ্গে এক ছাদের নিচে থাকতে চান। শ্রাবন্তীকে সংসারে ফেরাতে আদালত পর্যন্ত গিয়েছেন।
রোশানের মামলায় শ্রাবন্তীকে সমন পাঠায় শিয়ালদহ কোর্ট। সমন পেয়েও হাজির হননি শ্রাবন্তী। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে ভারতীয় মিডিয়ায়।
দাম্পত্য জীবনের টানাপোড়েনের মধ্যে গত বছরের অক্টোবর থেকে আলাদা থাকছেন রোশান-শ্রাবন্তী। এর মধ্যে পুরানো তিক্ততা ভুলে শ্রাবন্তীর সঙ্গে সংসারে ফিরতে জুনের প্রথম সপ্তাহে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন রোশান। রেস্টিটিউশন অব কনজুগাল রাইটস’ অর্থাত্ বৈবাহিক অধিকারের পুনঃপ্রতিষ্ঠা ধারায় মামলা করেছেন।
রোশানের মামলার ভিত্তিতে শ্রাবন্তীকে বুধবার শিয়ালদহ কোর্টে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য জানাতে সমন পাঠানো হয়েছিল; সমন গ্রহণ করলেও এ নায়িকা আদালতে উপস্থিত হননি।
এ বিষয়ে রোশানের আইনজীবী শ্যামল মণ্ডল বলেন, সমন গ্রহণ করেও শ্রাবন্তী আসেননি। এখন কার্যত লকডাউন চলছে। বিভিন্ন বিধিনিষেধ ও কড়াকড়ি রয়েছে।
শ্রাবন্তীর আইনজীবী আদালতে হাজির হয়ে জানিয়েছেন, তার মক্কেলকে ভুল সমন পাঠানো হয়েছিল। সেই কারণেই আদালতের নির্ধারিত দিনে সেখানে এসে উপস্থিত হননি অভিনেত্রী।
এদিন শ্রাবন্তীর আইনজীবী আদালতের কাছে মামলা নতুন একটি তারিখ প্রার্থনা করেন। পাশাপাশি তার মক্কেলকে নতুন সমন পাঠানোর আবেদনও জানানো হয়। পরবর্তী শুনানির দিন দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পরই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে মামলার প্রক্রিয়া।
শ্রাবন্তীর সম্পর্ক ভাঙা-গড়ার বিষয়টি কারোরই অজানা নয়। রাজীব বিশ্বাসের সঙ্গে খুব অল্প বয়সেই বিয়ে হয়েছিল নায়িকার। তবে সংসার সুখের ছিল সেই সম্পর্ক তেমনটা বলা যাবে না। দীর্ঘদিন আলাদা থাকার পর ২০১৬ সালে আইনি বিচ্ছেদ হয় দুজনের।
সেই বছরই মডেল কিষাণ বিরাজকে বিয়ে করেন নায়িকা। কিন্তু এক বছর পরেই আলাদা হয় এই জুটির পথ। অবশেষে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে আইনি বিচ্ছেদ হয় দুজনের।
এর মাস কয়েকের মধ্যেই রোশন সিং-কে বিয়ে করেন শ্রাবন্তী। তার সঙ্গেও সংসার করতে চান না নায়িকা।
টালিপাড়ায গুঞ্জন ইতোমধ্যে নাকি ব্যবসায়ী অভিরূপ নাগ চৌধুরীর সঙ্গে প্রেম সম্পর্ক জড়িয়ে পড়েছেন শ্রাবন্তী।
কিন্তু এতো কিছুর পরেও রোশানের বক্তব্য,’আমি তো বিয়ে এক বছরের জন্য বিয়ে করিনি, আমার তো এমন ভাবনা নয়, যে আমি বিয়ে করে ছেড়ে দেব। ও না বুঝুক, আমাকে বুঝতে হবে’।
সমালোচকরা অবশ্য এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি রোশনকেও। তাদের মতে ছাড়াছাড়ির পর খোরপোশের চাপ থেকে মুক্তি পেতে রোশন এই পদক্ষেপ করেছেন। যদিও সে কথা উড়িয়ে দিয়েছেন রোশান।