সৌদি আরব ও কুয়েতগামীরা চীনের টিকা নিলে তা গ্রহণযোগ্য বলে গণ্য করা হচ্ছে না। চীনের যে কোনো টিকা নিয়ে কুয়েত ও সৌদি আরবে পৌঁছালে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক। এই কোয়ারেন্টাইনের জন্য বাংলাদেশি ৭০ হাজার টাকা খরচ করতে হয় প্রত্যেকের।
বৃহস্পতিবার রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশে অবস্থানরত সৌদি প্রবাসীরা শুধু চার ধরনের টিকা নিয়ে সৌদি আরব ফিরতে পারবেন। এর বাইরে অন্য কোনো টিকা নিলে তাদের গ্রহণ করবে না সৌদি সরকার। এসব টিকা হলো: ফাইজার বায়ো-এনটেক (২ ডোজ), অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা (২ ডোজ), মডার্না (২ ডোজ) ও জনসন অ্যান্ড জনসন (১ ডোজ)।
বাংলাদেশ থেকে যারা সৌদি আরবে যাবেন তারা এর যেকোনো একটি কোম্পানির টিকার ডোজ নিলে তা গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। তবে টিকা নিলেও ভ্রমণের আগে (৭২ ঘণ্টার মধ্যে) অবশ্যই পিসিআর টেস্ট করে নেগেটিভ সনদ নিয়ে ভ্রমণ করতে হবে। টিকার পূর্ণ ডোজ নেওয়া ছাড়া কোনো বাংলাদেশি অভিবাসী সৌদি আরবে প্রবেশ করলে তাকে বাধ্যতামূলকভাবে সাত দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তবে ইকামাধারী অভিবাসী যারা সৌদি আরবে টিকা নিয়ে ছুটিতে দেশে রয়েছেন এবং যাদের তাওয়াক্কালনা অ্যাপে ইমিউন প্রদর্শন করছে তাদের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন প্রয়োজন হবে না। কিন্তু পিসিআর নেগেটিভ সার্টিফিকেট লাগবে।
প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার ১৮০ দিন পর্যন্ত তাওয়াক্কালনা অ্যাপে ইমিউন প্রদর্শন করে। এ সময়ের মধ্যে ভ্রমণ করলে কোয়ারেন্টাইন প্রয়োজন হবে না। যারা প্রথমবারের মতো সৌদি আরব যাবেন তাদের জন্য সৌদি সরকার অনুমোদিত টিকা ভ্রমণের ১৪ দিনে আগে নেওয়া হলে এবং টিকা নেওয়ার সনদ থাকলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন প্রয়োজন হবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ফাইজারের টিকা নিয়ে গেলে কুয়েত ও সৌদি আরবে কোয়ারেন্টাইন করতে হয় না। অন্য টিকা নিয়ে গেলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়। এ কারণে প্রবাসী শ্রমিকদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এটা প্রধানমন্ত্রীরও সিদ্ধান্ত। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় আমাদের যে তালিকা দিচ্ছে, সেই তালিকা অনুযায়ী টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।