স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩০ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পেল আফগানিস্তান। আফগানদের করা ১৯০ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১০.২ ওভারে ৬০ রানে অলআউট হয় স্কটল্যান্ড।
দলের সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন ওপেনার জর্জ মুনসি। ১২ ও ১০ রান করার সুযোগ পান অধিনায়ক কোয়েতজার ও ক্রিস গ্রেভস। বাকি ব্যাটসম্যানরা দুই অঙ্কের ফিগার রান করতে পারেননি।
এর আগে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে রানের রেকর্ড গড়ল আফগানিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে স্কটিশদের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ১৯০ রানের পাহাড় গড়ে আফগানিস্তান। এর আগে ২০১৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৬ উইকেটে ১৮৬ রান করে তারা।
তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক শ্রীলংকা। ২০০৭ সালের প্রথম বিশ্বকাপে কেনিয়ার বিপক্ষে ৬ উইকেটে ২৬০ রানের পাহাড় গড়ে মাহেলা জয়াবর্ধনের নেতৃত্বাধীন দলটি।
সোমবার নজিবুলল্লাহ জাদরান, রহমতউল্লাহ গুরবাজ ও হযরতউল্লাহ জাজাইয়ের ব্যাটিং তাণ্ডবে ৪ উইকেটে ১৯০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে আফগানিস্তান।
আরব আমিরতের শারজায় টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমেই তাণ্ডব চালান দুই ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ ও হযরতউল্লাহ জাজাই। ৫.৫ ওভারে দলীয় ৫৪ রানে ফেরেন শেহজাদ। তার আগে মাত্র ১৫ বলে দুটি চার ও এক ছক্কায় করেন ২২ রান।
৯.৫ ওভারে দলীয় ৮২ রানে ফেরেন আরেক ওপেনার হযরতউল্লাহ। তার আগে ৩০ বলে তিন চার ও তিন ছক্কা করেন ৪৪ রান।
এরপর রহমতউল্লাহ গুরবাজকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৫২ বলে ৮৭ রানের জুটি গড়েন নজিবুল্লাহ জাদরান। ১৮.৩ ওভারে দলীয় ১৬৯ রানে ফেরেন রহমতউল্লাহ। তার আগে ৩৭ বলে এক চার আর ৪টি ছক্কায় করেন ৪৬ রান।
এরপর অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীর সঙ্গে শেষ দিকে মাত্র ৯ বলে ২১ রানের ঝড়ো জুটি গড়েন নজিবুল্লাহ। ৩৪ বলে ৫টি চার ও তিন ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকেন নজিবুল্লাহ। মাত্র চার বলে দুটি চারের সাহায্যে ১১ রান করেন অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১৯০/৪ রান (নজিবুল্লাহ জাদরান ৫৯*, রহমতউল্লাহ গুরবাজ ৪৬, হযরতউল্লাহ জাজাই ৪৪, মোহাম্মদ শেহজাদ ২২)।
স্কটল্যান্ড: ১০.২ ওভারে ৬০/১০ (জর্জ মুনসি ২৫; মুজিব উর রহমান ৫/২০, রশিদ খান ৪/৯)।
ফল: আফগানিস্তান ১৩০ রানে জয়ী।