১৪ জুন দায়ের করা মামলার তদন্তের প্রয়োজনে আজ রোববার দুপুরে পরীমনিকে সাভার থানায় তলব করে পুলিশ। এখনো সেখানেই অবস্থান করছেন অভিনেত্রী। ঢাকা জেলা উত্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবদুল্লাহিল কাফি জানান, বেলা আড়াইটার দিকে থানায় এসেছেন পরীমনি। বিষয়টি নিশ্চিত করে ফোনে পরীমনি জানিয়েছেন মামলা নিয়ে কথা বলতে এসেছেন তিনি।
জানা যায়, সাদা একটি প্রাইভেট কারে মামা আশরাফুল ইসলাম ও ড্রেস ডিজাইনার জিমিকে সঙ্গে নিয়ে সাভার মডেল থানায় যান পরীমনি। এরপর আবদুল্লাহিল কাফির কক্ষে প্রবেশ করেন তাঁরা। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ পরীমনির সঙ্গে যখন কথা হয়, তখনো তিনি পুলিশ সুপারের কক্ষেই অবস্থান করছিলেন।
মুঠোফোনে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘মামলার বিষয়ে কথা বলতে ডাকা হয়েছে। বাদীর সঙ্গে মামলা বিষয়ে কথা বলা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। পুলিশ সুপারের সঙ্গে অনেকক্ষণ ধরে কথা হয়েছে। মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানলাম। এখন খাওয়াদাওয়া করছি।’
পরীমনি প্রবেশের পরপরই সাভার মডেল থানায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় থানার মূল ফটক। সাংবাদিক প্রবেশেও আরোপ করা হয় নিষেধাজ্ঞা।
১৪ জুন সাভার মডেল থানায় বাদী হয়ে নাসির ইউ মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে হত্যা ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন পরীমনি। মামলার পরপরই উত্তরা থেকে নাসির, অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। বর্তমানে তাঁরা পাঁচ দিনের রিমান্ড আছেন।