কারফিউ জারির পরামর্শ সম্পর্কে যা বলছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বাংলাদেশ

খালি ধমক দিয়ে আর গরিব মানুষকে জেলের মধ্যে পুরে দিলে সচেতনতা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, লকডাউনের লক্ষ্যটা হচ্ছে মানুষকে মানুষের কাছ থেকে দূরে রেখে সংক্রমণটা প্রতিরোধ করা। সেটার জন্য তো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কোথায় সেই সচেতনতা?

রোববার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। দলের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

‘কারফিউ জারির পরামর্শ’ সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি মনে করি- কারফিউ জারি কোনো সমাধান নয়। এই লকডাউনেও যদি আপনি সঠিকভাবে সাধারণ মানুষের অর্থের ব্যবস্থা করতে না পারেন, খাদ্যের ব্যবস্থা করতে না পারেন, তাহলে ওই অপরিকল্পিত লকডাউনও তো সঠিক সমাধান আনতে পারবে না।

ফখরুল বলেন, পর পর যে লকডাউনগুলো হয়েছে, সরকারি ছুটি, লকডাউন, কঠোর লকডাউন- আমরা কিন্তু যেভাবে দূরত্ব সৃষ্টি করা দরকার, সামাজিক দূরত্ব, শারীরিক দূরত্ব, সেই দূরত্ব সৃষ্টি করা সম্ভব হয়নি। লকডাউনে কী দেখা যাচ্ছে? মানুষকে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে, কষ্ট পাচ্ছে, বলা যায় যে অনেকে খাদ্যের অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন।

তিনি বলেন, আমি পত্রিকায় দেখলাম সাড়ে ৪ হাজার মানুষকে জেলে দেওয়া হয়েছে। এরা কারা? তারা গরিব মানুষ। তারা দিন আনে দিন খায়, হয়তো রিকশা চালায়, ঠেলাগাড়ি চালায় অথবা কোনো রেস্টুরেন্টে চাকরি করে। এরা যখনই বেরিয়েছে তাদের ধরে নিয়ে গেছে। এমনও কথা বেরিয়েছে যে বাবার জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার আনতে গেছে ছেলে, সেখানে তাকে গ্রেফতার করার ফলে সেই বাবা অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছেন। অপরিকল্পিত ব্যবস্থার ফলেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।