শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান বলেছেন, ডব্লিউএইচওর প্রটোকল অনুসারে, ৫ শতাংশের নিচে সংক্রমণ হার না নামলে আমরা স্কুলগুলো খুলে দিতে পারছি না। বর্তমানে এ সংক্রমণ হার ৩০ শতাংশ। মার্চে স্কুল খুলে দেওয়ার একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তা হয়নি। এরপর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।
বুধবার বিকালে ব্র্যাকের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্যোগে ‘ইনভেস্ট ইন স্কিলস টু বিল্ড রিজিলিয়েন্ট ইয়ুথ’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আজ বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস। এ বছরের যুব দক্ষতা দিবসকে সামনে রেখে বুধবার বিকালে ব্র্যাকের ফেসবুক পেজে এই ওয়েবিনারটি সরাসরি প্রচার করা হয়।
অনুষ্ঠানে আমিনুল ইসলাম খান বলেন, উন্নত দেশগুলোতে প্রায় সবাই ভ্যাকসিনের আওতায় চলে এসেছে। তারা এখন মুক্তভাবে চলছেন। অর্ধেক না হলেও ৪০ শতাংশ জনগণের এখনও ভ্যাকসিন নেওয়া বাকি আছে। ভ্যাকসিন আসছে। আগামী দু-তিন মাসের মধ্যেই অধিকাংশ লোকজনেরই ভ্যাকসিন নেওয়া হয়ে যাবে। ইয়ং পিপল অনেক শক্তিশালী। তারা কোভিডও সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারবে। ইংরেজির ওপর গুরুত্ব দিয়ে সরকার ভোকেশনালে ২৫০ জন এবং মাদ্রাসার ৩০০ জন শিক্ষককে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নর উত্তরে তিনি বলেন, অনলাইনে শিক্ষার বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। আমরা সব মোবাইল নেটওয়ার্কের সঙ্গে আলোচনা করেছি। গ্রামে ডিজিটাল নেটওয়ার্কে সংযুক্ত রয়েছে। আমরা ডিভাইস দেওয়ার চিন্তা করছি। এটা একটা চ্যালেঞ্জ। আলোচনা চলছে। এটুই, আইসিটি ডিভিশনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শিগগিরই কোনো পথ বের হবে। আমাদের স্কুলের গঠন অনুসারে স্কুলে সাইকোলজি কাউন্সিলর নেই। বর্তমান সরকার সে ব্যবস্থা করছে। জুম মিটিং এবং অন্যান্য সোর্সের মাধ্যমে শিক্ষকরা শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দিচ্ছেন।
ব্র্যাক স্কিলস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের ইনচার্জ তাসমিয়া তাবাসসুমের পরিচালনায় ওয়েবিনারে আলোচক ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ ভিরা মেনডনকা, বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়া হাইকমিশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাহরিয়ার হাসান ও এইচএসবিসি বাংলাদেশের হেফ অফ করপোরেট সাসটেইনিবিলিটি সৈয়দা আফজালুন নেসা।