কোরবানি ঈদ সামনে রেখে আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউন শিথিল করেছে সরকার। ২৩ জুলাই সকাল থেকে ১৪ দিন সর্বাত্মক লকডাউনের কথা জানানো হয়। এ সময় পোশাক কারখানা বন্ধের কথা বলা হয়। তবে ঈদের পরে লকডাউনের মধ্যে পোশাক কারখানা খোলা রাখতে চান পোশাক ও বস্ত্র খাতের ব্যবসায়ীরা।
এ নিয়ে সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে পোশাক ও বস্ত্র খাতের ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদল মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় কারখানা খোলা রাখার যৌক্তিকতা তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি চিঠি দেন প্রতিনিধিদল।
ঈদের পর দুই সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে পোশাক, বস্ত্রসহ রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা চালু থাকবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত আগামী শনিবার হতে পারে বলে জানিয়েছে প্রতিনিধিদল। সেদিন সরকারের উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক হওয়ার কথা।
বৈঠক শেষে বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে ঈদের পর কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে কারখানা খোলা রাখার যৌক্তিকতা তুলে ধরেছি আমরা। সচিব আমাদের আশ্বস্ত করছেন, তিনি আমাদের চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেবেন। এ ছাড়া শনিবার সরকারের একটি বৈঠক রয়েছে, সেখানে ঈদের পর কঠোর লকডাউনে রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা চালু থাকবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান, সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সিদ্দিকুর রহমান, নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএ নেতারা বলেন, দেশের বৃহত্তর রপ্তানি আয়ের এই খাতটি যেন উৎপাদন অব্যাহত রাখতে পারে এবং আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারে সেই উদ্দেশ্যে এমন দাবি জানানো হয়। এ ব্যাপারে শনিবার একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখান থেকেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে কারখানা মালিকদের জানানো হয়েছে।
২৩ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া ১৪ দিনের লকডাউনে কাজ বন্ধ রাখা হলে রপ্তানিতে গুরুতর সমস্যা তৈরি হবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিলেন গার্মেন্টস মালিকরা। তারা জানান, পোশাক উৎপাদকদের জন্য জুলাই-আগস্ট মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় পশ্চিমা বাজারে শীত ও বড়দিনের জন্য বিক্রি বেড়ে যায়। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা মোট পোশাকের ৪০ শতাংশই এ দুই মাসে রপ্তানি হয়।