কওমি মাদ্রাসাসহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। মঙ্গলবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বাবুনগরী বলেন, দেশের সার্বিক আর্থসামাজিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকার অফিস, হাট-বাজার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালুর অনুমতি এবং সীমিত পরিসরে গণপরিবহন খুলে দিয়েছে। এছাড়া পর্যটন, বিনোদনকেন্দ্র, চিড়িয়াখানা ও গণপরিবহন চলাচলে সকল বিধিনিষেধ তুলে নিচ্ছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে আমরা বাস্তবসম্মত ও জনচাহিদার প্রতিফলন হিসেবে দেখছি। এ পরিস্থিতিতে দেশের ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকদের সঙ্গে সরকারের প্রতি আমরাও জোর আহ্বান জানাই যে, ছুটি আর দীর্ঘায়িত না করে অবিলম্বে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হোক।
হেফাজত আমীর বলেন, শিক্ষার ধারাবাহিকতা থেকে দীর্ঘদিন দূরে থাকার কারণে দেশের শিক্ষার্থীরা সময় পার করছে মোবাইল-ইন্টারনেটের ক্ষতিকর ব্যবহার অথবা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে অহেতুক আড্ডা দিয়ে। পাশাপাশি নানা ধরনের কিশোর অপরাধ আশংকাজনক হারে বেড়ে চলেছে। অভিভাবকরা সন্তানদের বিপথগামিতা ও ভবিষ্যত ভেবে গভীর উৎকণ্ঠায় ভূগছেন।
আল্লামা বাবুনগরী বলেন, বর্তমানে শিশু-কিশোর ও তরুণদের খেলাধূলায়, বেড়াতে, হাটবাজারে ও শপিং মলে যেতে এবং গণপরিবহণে ছাড়তে কোনো সরকারি বিধিনিষেধ নেই। অফিসে, ব্যবসায় ও কলকারখানায় কাজ করা তাদের অভিভাবকদের সংস্পর্শেও তারা প্রতিদিনই আসছে। তাছাড়া বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শুরু করে আমাদের স্বাস্থ্যবিভাগ থেকেও বলা হচ্ছে, করোনায় কম বয়সীদের তেমন ক্ষতি করছে না। এমন পরিস্থিতিতে সবকিছু উন্মুক্ত রেখে শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কোনই যৌক্তিকতা থাকে না।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দেশের আলেমসমাজও সরকারের প্রতি মাদ্রাসাসমূহ খুলে দিতে বারবার আহ্বান জানিয়ে আসছেন। যাতে করে লাখ লাখ মাদ্রাসা ছাত্রের শিক্ষার ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন থাকার পাশাপাশি কুরআন-হাদিস ও ইসলামী জ্ঞান চর্চার বরকতে করোনাসহ সকল বিপদাপদ থেকে দেশ ও জাতি রক্ষা পায়।